মুরাদ হাসান: [৩] প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ কথা জানা গেছে। 

[৪] সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি তাছাদ্দুক রাজা জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের সুরমাসহ সকল নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে পৌর শহরের নিম্নাঞ্চলের পাঁচ উপজেলার রাস্তাঘাট। পানি বাড়তে থাকায় জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। 

[৫] সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

[৬] সিলেট প্রতিনিধি সুবর্ণা হামিদ জানান, রোববার বৃষ্টির প্রকোপ আরো বেড়েছে। মাত্র ৩ ঘণ্টায় সিলেটে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। বৃষ্টি আরো অন্তত ৫ দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

[৭] বৃষ্টিতে বাড়ছে নদনদীগুলোর পানি। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সিলেটে কোথাও নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

[৮] ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এমনকি পানি ঢুকে যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। বিভিন্ন ভবনে পানি ঢুকলেও স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে রোগীদের যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

[৯] সিলেট নগরীর প্রধান সড়ক জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকার সড়ক থেকে শুরু করে মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, হযরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকার পায়রা ও রাজারগল্লি, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, দাড়িয়াপাড়া, যতরপুর, উপশহর, ছড়ারপাড়, তালতলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকার জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

[১০] নেত্রকোণা থেকে দিলওয়ার খান জানান, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংস, ধনু, উব্দাখালী, সোমেশ্বরীসহ বিভিন্ন ছোট বড় নদ-নদীর বাড়ছে পানি। এর মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

[১১]  রোববার  উব্দাখালী নদীর ডাকবাংলো পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত  হয়। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৬ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।

[১২] নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকে নেত্রকোনাসহ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে ১৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ওই সময়ে নেত্রকোনায় বৃষ্টিপাত হয় প্রায় ৪৫ মিলিমিটার। এতে জেলার ছোট বড় সব নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব